একজন ছাত্র সরস্বতী পুজোয় চাঁদা না দিতে চাওয়ায় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হচ্ছে। গত পরশু এমনি এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে। নির্যাতিত ছাত্রের দাবি যে পুজোর চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় প্রায় ৪০ জন ছাত্রের একটি দল তাঁর রুমে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটাও অভিযোগ উঠেছে যে হামলাকারীর দল তাঁকে হুমকি দেয় যে পুজোর চাঁদা না দিলে তাঁকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অর্ডার জারি করেছেন যে নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপরিউক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “কোনো অবস্থাতেই কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছে জোর করে চাঁদা নেওয়া ভারতীয় সংবিধানের উল্লঙ্ঘন। একজন মুসলিমের জন্যেও পুজোর চাঁদা দেওয়া তাঁর ধার্মিক নীতির বিরোধী। সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে কোন একটি ধর্মের নিয়ম নীতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের গুন্ডামী বন্ধের জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি এই আশাও রাখেন যে যেহেতু জোর করে পুজোর চাঁদা নেওয়া একজন মুসলিম ছাত্রছাত্রীর বিশ্বাসে আঘাত হানে, এই অবস্থায় তাঁকে ঈমান-আক্বিদায় দৃঢ় হতে হবে। সংগঠন সর্বদা এটাই চায় যে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং কোন ধার্মিক বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহনের অধিকার বহাল থাকবে।
ধন্যবাদান্তে,
গাজী তাওফিক ইসলাম
জনসংযোগ সম্পাদক
এসআইও পশ্চিমবঙ্গ
যোগাযোগ – +91 8420 722 672
ইমেইল – prs.siowb@gmail.com
